বুধবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৩

সোনালী সকাল। স্বপ্ন না সত্যি !!

শিশির ভেজা ঘাসের ডগায়
প্রতিটি নতুন ভোরে
আমি স্বপ্ন দেখি
নতুনের আশা
বুক বাধি
জীবনের প্রতিটি পাতায় পাতায়
সোনালী রদ্রুজ্জল ভোরের আলো
আমাকে নতুন করে
বাচঁতে শেখায়

..........................................
বাস্তবে আমাদের যে অবস্থা। স্বাধীনতার এতগুলো বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও, ভাবতে কষ্ট লাগে। কত বড় ত্যাগের মাধ্যমে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতার মূল্যটুকু আমাদের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদগণ, কি বুঝেন ! রাজনীতির নামে কাদা ছিটানো। গুম ও নিরীহ মানুষ হত্যা। এগুলো কি কোন দিনও বন্ধ হবেনা? দেশের সর্বস্তরের সর্বময় দূনীতির প্রতিযোগতিা । প্রতিটি ক্ষেত্রে অসাধু উপায় অবলম্বন। একজনকে ঠকিয়ে আর অন্যজন ধনী হওয়ার প্রতিযোগিতায় মগ্ন।
ফুটপাতে চলতে জরাজীর্ণ শীর্ণ রুগ্ন বাস্তুহারা মানুষগুলো আমাকে কাদাঁয়। অন্যদিকে সন্তানহারা বৃদ্ধ, বয়স্ক ভাতার জন্য ঘুষ- আমাকে ভাবায় !
প্রতি দিন রাজপথে শুনি ধান্ধাবাজ রাজনীতিবিদদের মনভুলানো বলি।
এতো কিছুর পরও আমরা স্বপ্ন দেখি নতুন দিনের । একজন মাহাথির মোহাম্মদ এর বড়ই প্রয়োজন। যে শক্তহাতে হাল ধরবে। যে মহান নাবিক পথ দেখাবে আমাদের। আমরা পাবো সুন্দর একটি সোনালী সকাল।
------------------------------------------------------------------------------
এমন একজন নাবিক কি কোন দিনও পাবো না? তবুও আশা থাকবো ............।
http://www.somewhereinblog.net/blog/manikmunnabd/29745866 

বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৩

কেন শুধু ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রেই নাম নিবন্ধন !!!

 ইউনিয়ন পরিষদে নাম নিবন্ধন করতে হবে। কিন্তু কিভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা পরিস্কার নয়। বিষয়টি সাধারন কোন ফর্রমে না কি অনলাইনে। লটারির পদ্বতিটি কি হবে। চেয়ারম্যন মেম্বারগণ সামান্য কাবিখা/টি আরের গমের লোভ সামলাতে পারে না। সেখানে নগদ টাকার হাত ছানি !!! কোন অবস্থাতেই চেয়ারম্যন মেম্বারদের তথা ইউনিয়ন পরিষদে এ ধরনের লটারির দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। আমি গেরান্টি দিয়ে বলতে পারি দূর্ণিতির মহোৎসব হবে। মারামারি থেকে বিষয়টি খুন খারবির পর্যায়েও যেতে পারে। কারণ স্থানীয় সরকারদলিয় নেতা কর্মি, মাস্তান, চেয়ারম্যন, মেম্বার সকলেই লটারির উপর প্রভাব বিস্তার করবে। প্রতিটি ইউনিয়নে যে সংখ্যক মালশিয়া গমনইচ্ছু লোক রয়েছে তাতে ইউনিয়ন পরিষদের যে সমস্থ যোগ্য!!!! কম্পিউটার অপারেটর রয়েছে তাদের পক্ষে এই সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। প্রতিটি ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রে কয়েক হাজার লোকের সমাগম হবে যা ১/২ টি কম্পিউটার দিয়ে সম্ভব হবে না। এক জন অপারেটর যদি দৈনিক ২০০ টি নিবন্ধন করতে সক্ষম হয় (যদিও বাস্তবে ইউপি তথ্য সেন্টারে এটা সম্ভব হবে না) তবে ৩ দিনে ৬০০টি নাম নিবন্ধন করতে পারবে। কিন্তু আমার নিজের ইউনিয়নেই ৬ থেকে ৭ হাজার লোক নিবন্ধনের জন্য আগ্রহি। তাহলে বাকি লোক গোলো সরাসরি নিবন্ধনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। শুরু হবে অনৈতিক বানিজ্য। ২/৫ হাজার টাকায় প্রাথমিক নিবন্ধনের সুযোগ নিবে। বিষয়টি সকলের জন্য হতে হবে উন্মুক্ত যার ইন্টারনেট সংযোগ আছে তারাই খুব সহজে নিবন্ধন ফরর্ম পূরন করতে পারবে এমন পদ্বতিই হওয়া উচিত। এবং নিবন্ধন শেষে কেন্দ্রীয় ভাবে লটারি করাই হবে যুক্তি যুক্ত। গ্রামের একজন সাধারণ লোক ইউনিয়ন পরিষদের ইনফর্মেশন সেন্টারে গিয়ে এই সেবাটি পাবে না। কারণ অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের ইনফর্মেশন সেন্টারে মোবাইল কম্পানির ইন্টারনেট মডেম ব্যবহার করা হয়। মোবাইল কম্পানিগুলোর ইন্টারনেট মডেমের গতি অনেক কম যা দিয়ে ইমেইল, ওয়েব পেইজ ব্রাউজের কাজ করা সম্ভব হলেও তীব্র প্রতিযোগীতা করা সম্ভব হবে না। সরকার ইউনিয়ন পরিষদের ইনফর্মেশন সেন্টারকে কাজে লাগানোর যে উদ্যোগ তা সফল হবে না। অনেক লোক যখন কোন ওয়েব সাইটে একসাথে এক্সেস নিতে চায় তখন উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট কানেকশন যাদের আছে তারাই সফল হয়। অনেক লোক যখন একসাথে এক্সেস নিতে চায় তখন কারীগরিক্রটির বিষয় তো আছেই। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার (এসএসসি,এইচএসসি ) ফলপ্রকাশের পর বিষটি সহজেই অনুধাবন হয়। এবং রেজিষ্ট্রেশনের পর লটারির মাধ্যমে জেলা কোটার পূরণ করাই হবে অধিক যুক্তি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদিআরব, কুয়েত গত কয়েক বছর যাবত বন্ধ। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদেশে গমনিচ্ছু লোক জন মালয়েশিয়ার দিকে ঝুকবে কোন সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের অনেক ইউনিয়ন পরিষদে বিদ্যুত সংযোগ নেই। তাতে করে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন রেজিষ্ট্রিশনের সুযোগ থেকে সরাসারি বঞ্চিত হবে। যদি রেজিষ্ট্রেশনের বিষয়টি উন্মুক্ত থাকে তবে ৫০ থেকে ১০০ টাকায় রেজিষ্ট্রেশ করতে পারবে।

সর্বশেষ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন আপনারা এ ধরণের সিন্ধান্ত নেয়ার পূর্বে ইউনিয়ন পরীষদে গিয়ে স্বশরীরে পরীক্ষা করে দেখুন আদো আপনাদের সিদ্ধান্ত ঠিক কিনা ? আমরা চাইনা কিনারে এসে তরী ডুবে যাক, কেননা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু করতে আপনাদের অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে, সুতরাং আপনারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার বাস্তবতা প্রমান করুন।